Description
শায়রী একটি ক্ষুদ্র অণুকবিতা যা কয়েকটি ছত্রের মাধ্যমে কবির বক্তব্যকে বলিষ্ঠভাবে প্রকাশ করে। এই বক্তব্য সাধারণত মানবিক মূল্যবোধ, আবেগ বা অনুভূতি নির্ভর, যা নাটকীয়ভাবে উপস্থাপিত হয়ে সমগ্ৰ শায়রীটির প্রাণ প্রতিষ্ঠা করে। শায়রীর জন্ম প্রাচীন পারস্য দেশে। পরবর্তীকালে উর্দু ও হিন্দি ভাষাতেও বহু শায়রী লেখা হয়েছে। হিন্দি ভাষায় লেখা শায়রীর এক বিশেষ রূপ হল ‘মুহাব্বরা’। শায়রী সাধারণত দুই থেকে আট পংক্তির মধ্যে সীমাবদ্ধ। আকৃতি যেমনই হোক না কেন শায়রীর গঠনবিন্যাসে অন্ত্যমিল অপরিহার্য। বর্তমান সংকলনটিতে দুজন লেখক/লেখিকার কলমে দুটি ভিন্ন রচনাশৈলীতে কবিতাগুলিকে পরিবেশন করা হয়েছে। রামেশ্বরের লেখনীতে শব্দচয়ন এমনভাবেই করা হয়েছে যাতে শায়রীগুলির বক্তব্য যতটা সম্ভব বলিষ্ঠভাবে প্রকাশিত হয়। তাঁর রচনায় বিশেষভাবে হিন্দি বা উর্দু রচনাশৈলী অনুসরণ করা হয়েছে। অপরদিকে, শর্মিলা নান্দনিক ভাবটিকে দৃঢ়ভাবে ধরে রেখেছেন। পংক্তিগুলির ছন্দবন্ধন ও শব্দচয়নে প্রাধান্য পেয়েছে বাংলা ভাষার সনাতনী বৈশিষ্ট্য ও অন্ত্যমিল। অনুদিত প্রতিটি শায়রীর শেষে দুই অনুবাদকের অভিজ্ঞান স্বরূপ দুটি ভিন্ন প্রতীকচিহ্ন ব্যবহার করা হয়েছে। সংকলনটিতে এই দুই ভিন্ন ধারার রচনাশৈলীর সমন্বয়ে শায়রীগুলি পরিবেশিত হয়েছে। আশা করি বিদগ্ধ পাঠক এর রস উপভোগ করতে পারবেন।
About Author
রামেশ্বর গাঙ্গুলী মানুষ হিসাবে জীবনের সৎ মূল্যবোধগুলোকে যথেষ্ট গুরূত্ব দিয়ে থাকেন। তিনি তাঁর স্কুলজীবনে হিন্দিভাষা রপ্ত করেছিলেন। কয়েকবছর আগে তিনি হিন্দি এবং উর্দু ভাষায় লেখা প্রচুর শায়রীর সন্ধান পান ইন্টারনেটে। তিনি এটাও লক্ষ্য করেন যে বাংলা ভাষায় শায়রীর বিশেষ কোনো অস্তিত্ব নেই। ইন্টারনেটের ঐ শায়রীগুলো হিন্দি অথবা উর্দু ভাষায় লেখা ছিল। তিনি মনস্থ করেন কিছু শায়রী বেছে নিয়ে বাংলা ভাষায় অনুবাদ করবেন। এক্ষেত্রে তাঁর হিন্দি ভাষার অল্প স্বল্প জ্ঞান এই কাজটি করতে সাহায্য করে। সেই ধারণার সূত্র ধরেই এই বইটির উৎপত্তি।
রামেশ্বরবাবু আমেরিকাতে থাকেন, কিন্তু বাঙালিয়ানা তাঁর মনের গভীরে বাসা বেঁধে আছে। যদিও তিনি সাহিত্যের ছাত্র ছিলেন না, কবিতার চর্চা করতে তিনি ভালোবাসেন। তাঁর লেখা একটি ইংরেজি কবিতার বই ১৯৯৪ সালে প্রকাশিত হয়েছিল। তাঁর লেখা বাংলা এবং ইংরেজি কবিতাগুলো বক্তব্য প্রধান। আর অন্তর্নিহিত বক্তব্যই হল শায়রীর প্রাণ। তাই শায়রীর গঠনপ্রণালী এবং বিন্যাস তাঁর খুব পছন্দ।
শর্মিলা বসুর জন্ম ও পরিচয়: ১৬ আগস্ট ১৯৫৮, বেলেঘাটা (শুঁড়া)র ঐতিহ্যবাহী মিত্রবাড়িতে। প্রয়াত কবীরলাল ও মীরা মিত্রের একমাত্র সন্তান, পরিণয়ের সূত্রে প্রখ্যাত অস্থিবিদ ডা: গৌতম বসুর সঙ্গে আবদ্ধ।
শিক্ষা ও কর্ম: প্রাথমিকপর্বে বেলেঘাটা শুঁড়া কন্যা বিদ্যালয়, পরে প্রেসিডেন্সি কলেজ ও ক্যালকাটা ইউনিভার্সিটি, বিষয়: পদার্থ বিজ্ঞান।
গবেষণার সূত্রপাত: ইউনিভার্সিটি অফ হাল, ইংল্যান্ড।
ব্রমলে পলিটেকনিক কলেজ থেকে কম্পিউটার আ্যপ্লিকেশনের ডিপ্লোমা নিয়ে কর্মজীবনের প্রথম পর্বে সফটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রি ও পরবর্তীপর্বে অধ্যাপনা।
পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে বসবাস ও ভ্রমণের সূত্র ধরে যে বিচিত্র অভিজ্ঞতা জীবনের ঝুলিতে সঞ্চিত হয়েছে তা-ই প্রকাশ পেয়েছে লেখনীতে। কবিতার পাশাপাশি উঠে এসেছে প্রবন্ধ ও ভ্রমণ কাহিনি, যা নিয়মিত ভাবে প্রকাশিত হয়েছে কৃত্তিবাস, আনন্দবাজারের রবিবাসরীয়, সংবাদ প্রতিদিন সহ বিভিন্ন পত্র পত্রিকায়।
ভালোবাসা: বিভিন্ন বিষয়ে পড়া ও লেখার পাশাপাশি ছবি আঁকা, হাতের কাজ ও ভ্রমণ।
প্রিয় বিষয়: ইতিহাস, বিজ্ঞান ও সাহিত্যের সমান্তরালে বিচিত্র গাণিতিক সমস্যার সমাধান।
Reviews
There are no reviews yet.